রঙিন ফুলকপি চাষে লাভ বেশি
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১৭-০২-২০২৫ ০৪:২১:০০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৭-০২-২০২৫ ০৪:২১:০০ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
বাজারে চাহিদা এবং ভালো দাম পাওয়ায় প্রথমবারই চাষ করে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের কয়েকজন কৃষক। ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় খুশি কৃষক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ। বাজারে যখন সাদা কপি ৫ টাকা তখন কৃষক প্রতি পিস রঙিন কপি বিক্রি করছেন ২০ টাকায়।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের নিজপাড়া ইউপির দামাইক্ষেত্র গ্রামের সবজি চাষি কুশল চন্দ্র রায় ২০ শতাংশ জমিতে চাষ করেছেন রঙিন কপি। তার মতো ভোগনগর ও সাতোর ইউনিয়নের আরও ৪ জন কৃষক রঙিন ফুলকপি ও বাঁধা ফুলকপি চাষে এনে দিয়েছে সাফল্যের স্বাদ।
ফসলের মাঠে দেখা যায়- চাষ করা হলুদ, গোলাপি ও হালকা লাল রঙের বাহারি ফুলকপি শোভা পাচ্ছে জমিতে। প্রথমবারেই রঙিন ফুলকপি চাষে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়েছেন। চারা ছাড়াও ফুলকপি চাষে প্রয়োজনীয় জৈব সার, কীটনাশক ও পরামর্শ দিয়ে তাকে সহযোগিতা করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।
দামাইক্ষেত্র গ্রামের সবজি চাষি কুশল চন্দ্র রায় বলেন, সাদা কপি ৫ টাকায় বিক্রি হলেও এ কপি এখনো ২০টাকায় বিক্রি হচ্ছে পিস। ইতোমধ্যেই ৭ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। আশা করছেন, বাকি ফসল থেকে ৪৫ থেকে ৫০হাজার টাকা আয় করবেন।
বীরগঞ্জ পৌর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. মোজাম্মেল জানান, রঙিন কপির পুষ্টি এবং গুনাগুন অনেক ভালো। রঙিন ফুলকপি বাজারে আসা মাত্রই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা যদি এই চাষ আরও বাড়ান, তবে এটি হয়ে উঠবে লাভজনক একটি ফসল। স্থানীয় ক্রেতা আশারুল বলেন, ক্ষেত থেকে ২০টাকা দরে রঙিন ফুলকপি কিনেছেন তিনি। দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, খেতেও তেমনি সুস্বাদু।
বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, পরীক্ষামূলক এই চাষে কৃষকরা আশানুরূপ ফলন ও বাজার মূল্য পেয়েছেন। রঙিন ফুলকপির পুষ্টিগুণ সাদা ফুলকপির তুলনায় অনেক বেশি এবং এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তিনি আরও জানান,এ বছর বীরগঞ্জের ৭০২হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে এবং এর মধ্যে এক একর জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাজারে এর উচ্চ চাহিদা থাকায় আগামী বছর আরও বেশি কৃষক এই চাষে যুক্ত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স